মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

স্বর্ণলতার স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঔষধিগুণ

স্বর্ণলতার স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঔষধিগুণ

সংগৃহীত

স্বর্ণলতা একটি পরজীবী উদ্ভিদ। কোনো পাতা নেই, লতাই এর দেহ-কাণ্ড-মূল সব। লতা হতেই বংশ বিস্তার করে। সোনালী রং এর চিকন লতার মত বলে এইরূপ নামকরণ। ঔষধিগুণ আছে। অনেক ক্ষেত্রে আশ্রয় দাতা গাছের মৃত্যু ঘটিয়ে থাকে।

বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে, পাওয়া যায়। একটি মৌলিক গবেষণায় দেখা গেছে যে স্বর্ণলতা উদ্ভিদের পুরো অংশ বিষাক্ত। এটি একটি উর্বরতা বিরোধী ইমেটিক গর্ভপাতকারী। সোনালি হলুদ রঙের পরজীবী উদ্ভিদ গ্রামগঞ্জে এটি শূন্যলতা বা অলোক লতা নামেও পরিচিত এবং শিকড় পাতা ছাড়া ছোট ও মাঝারি উচ্চতার গাছে আঁকড়ে থাকতে দেখা যায়।

জেনে নিই স্বর্ণলতার স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ঔষধিগুণ সম্পর্কে-

১. সোনালী লতার বীজ চূর্ণ করে খেলে কৃমি নিরাময় হয়।

২. মুখে ঘা হলে সোনালী লতা সিদ্ধ করে সেই জল দিয়ে গার্গল করুন, ঘা দ্রুত সেরে যাবে।

৩. কারো মুখে অসন্তুষ্টি থাকলে বা খেতে না চাইলে সোনালী লতা সিদ্ধ করে সেই জল পান করলে বিরক্তি চলে যায়।

৪. পেট ফাঁপা হওয়ার সমস্যা হলে সোনালী লতার গুঁড়ো বীজ খেলে উপকার পাওয়া যায় এবং দ্রুত ভালো হয়ে যায়।

৫. সোনালী লতা পিষে ক্ষতস্থানে লাগালে ক্ষত দ্রুত সেরে যায়।

৬. সোনালী লতা থেঁতো করে সেবন করলে জন্ডিস ভালো হয়।

৭. সোনালী লতা পেটের ব্যথায় কার্যকর, এটি জন্মনিয়ন্ত্রণ এবং অ্যানথেলমিন্টিক হিসাবে কাজ করে।

৮. সোনালী লতা নির্যাস পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য একটি অত্যন্ত উপকারী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা।

৯. সোনালী লতা প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসায় ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, এটি রক্ত পরিশোধক এবং পোকামাকড় নিরোধক, কারমিনেটিভ, অ্যান্থেলমিন্টিক, স্ক্যাব রিমুভার হিসেবে দেখা হয়।

১০. বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাড়ের চিকিৎসা, জন্ডিস, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, লিভারের রোগ, চুলকানি, শ্বাসকষ্ট, ক্যান্সার ইত্যাদি কঠিন রোগ সারাতে সোনালী লতা ব্যবহারের কথা জানা যায়। গবেষণায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির মধ্যে একটি।

১১. গর্ভবতী অবস্থায় কখনোই এই লতাটি সেবন করবেন না।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

সর্বশেষ: