রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

বাণিজ্যিকভাবে লাল আঙ্গুর চাষে সফল হাসেম আলী!

বাণিজ্যিকভাবে লাল আঙ্গুর চাষে সফল হাসেম আলী!

বাণিজ্যিকভাবে লাল রঙের আঙ্গুর চাষে সফল কৃষি উদ্যোক্তা হাসেম আলী। তার অক্লান্ত পরিশ্রম ও একনিষ্ঠতা তাকে সফল করে তুলেছে। কেননা এই ফলের চাষ শুরু করার সময় অনেকেই তাকে নিয়ে হাসি-তামাসা করেছে। বর্তমানে তিনি প্রায় ৩০ জাতের আঙ্গুরের চাষ করছেন। তার বাগান দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ ভীড় করছেন। আনেকে আবার তার কাছ থেকে বিভিন্ন জাতের চারাও কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

জানা যায়, কৃষি উদ্যোক্তা হাসেম আলী কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার আজোয়াটারী এলাকার বাসিন্দা। তিনি বাণিজ্যিকভাবে ২ বিঘা জমিতে বিদেশি প্রজাতির লাল জাতের আঙ্গুরের চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। তিনি ২ বছরের পরিশ্রমের ফল হিসেবে এই সফলতা অর্জন করেছেন। বর্তমানে তার বাগানে ৩০ জাতের প্রায় ২০০টিরও বেশি আঙ্গুরের গাছ রয়েছে। তারমধ্যে ৪০টি গাছে অধিক পরিমানে ফল এসেছে। অনেকে তার বাগানটি দেখতে আসছেন এবং চারাও কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও বাজারে আঙ্গুরের চাহিদা ও দাম ভাল থাকায় তিনি লাভের আশা করছেন।

কৃষি উদ্যোক্তা হাসেম আলী বলেন, আমি অনলাইন থেকে দেখে আঙ্গুর চাষে উৎসাহি হই। তারপর আমার বন্ধু ও ব্যাংক কর্মকর্তা রুহুল আমিনের সহযোগিতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বাইকুনর, গ্রীনলং, একেলো, এনজেলিকাসহ প্রায় ৩০ প্রজাতির উন্নত জাতের আঙ্গুরের চারা সংগ্রহ করি। চারাগুলো ২ বিঘা জমিতে রোপন করে চাষ শুরু করি। এই মাটিতে আঙ্গুরের চাষ হবে না বলে অনেকেই হাসি-তামাসা করেছে। তবে আমি আশা ছাড়িনি।

তিনি আরো বলেন, গত বছর যখন প্রথম ফলন আসা শুরু করে তখন বিশ্বাস হয় যে আমার স্বপ্ন পূর্ণ হতে চলেছে। আমার বাগানে ২০০টির বেশি গাছ থাকলেও এবছর আল্লাহর রহমতে ৪০টি গাছে থোকায় থোকায় আঙ্গুর এসেছে। ইতোমধ্যে ৩০০ টাকা কেজি দরে দেড় মণ বিক্রি করেছি। আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরো দেড় মণ বিক্রি করতে পারবো। এছাড়াও প্রতি পিস চারা ৩০০-১৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি।

হাসেম আরো বলেন, এই বাগানটি গড়ে তুলতে আমার ১২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বিভিন্ন জাতের চারা ও আঙ্গুর বিক্রি করে প্রায় ৫ লাখ টাকা পেয়েছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. নিলুফা ইয়াছমিন বলেন, জেলায় লাল জাতের আঙ্গুর চাষ করে কৃষি উদ্যোক্তা হাসেম আলী আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তার বাগানের আঙ্গুর খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। অনেকেই তার কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করে চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমরা হাসেম আলী ও নতুন যারা আঙ্গুরের চাষ করতে চান তাদের সবাইকে সহযোহিতা করা হবে।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: