মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১

পিরোজপুরে ১৪ কোটি টাকার ডাব উৎপাদন

পিরোজপুরে ১৪ কোটি টাকার ডাব উৎপাদন

পিরোজপুরে ৭টি উপজেলায় চলতি বছর ১ হাজার ৮৮৪ হেক্টর জমিতে নারিকেলের চাষ হয়েছে। জেলায় চলতি বছরে নারিকেলের উৎপাদন হয় ৫ হাজার ৬১৭ মেট্রিকটন। প্রতি মেট্রিকটন ২৫ হাজার টাকা হিসেবে যার মূল্য ১৪ কোটি ৪ লাখ টাকা।

জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে নারিকেলের চাষ হলেও চলতি বছরে ডাব নারিকেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্রাতিরিক্ত হারে। উৎপাদন কম হওয়া এবং ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন রোগীদের জন্য ডাব উপযোগী হওয়ায় চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকগুণ। প্রতি পিস ডাব নারিকেল বাগান থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কিনতে হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা এবং আড়তদারদের কিনতে হচ্ছে ৬৫-৭৫ টাকা। ফলে বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ডাব নারিকেল ১০০-১২০ টাকা। এছাড়াও আড়তদার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চালান দিচ্ছেন ৮০-৯০ টাকা পিস হিসেবে।

জেলা হাসপতালে রোগীর স্বজন জানান, হাসপাতালে রোগী ভর্তি বাজার থেকে ডাব কেনার উপায় নেই। প্রতি পিস ডাবের দাম ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। মাত্র এক গ্লাস পানি হয় এমন ছোট ডাব ১০০ টাকা। ফলে রোগীদের জন্য অনেক সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। ডেঙ্গুতে ডাবের পানি উপকারী কিন্ত এতো চড়া দাম দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না ডাব। ফলে ডাব সংঙ্কটে জেলা হাসপাতালের রোগীরা। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েক বছর আগেও যখন গ্রাম থেকে ২০ থেকে ২৫ টাকা পিস ডাব কিনতাম এখন সেখানে মালিকের থেকে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা পিস কিনতে হচ্ছে। ফলে আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা পিস। আমরা বাগান থেকে যেমন দামে কিনে আনি তেমন দামেই তো বিক্রি করবো। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর উপ-পরিচালক ড. মো. নজরুল ইসলাম  জানান, মৌসুম না থাকায় ডাবের উৎপাদন কম কয়েক মাস পরে এটি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তিন চার মাস ডাবের চাহিদা খুব বেশি থাকে তবে বর্ষার মৌসুমে উৎপাদন কম হয়। উৎপাদন কম হচ্ছে বলে দাম অনেকটা বেশি। নারিকেল চাষে ও পরিচর্যার দিকে কৃষকদের নজর বাড়ালে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে সংঙ্কট কমবে। সিভিল সার্জন হাসনাত ইউসুফ জাকী জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য ডাবের পানি অনেক উপকারী। আমরা ডেঙ্গু রোগীদের ডাবের পানি খেতে বলি। কিন্ত অনেক রোগীরাই অভিযোগ করে ডাব পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। নিয়মিত ডাবের পানি খাওয়ালে শরীরের প্লটিলেট সহ বিভিন্ন উপকার হয় রোগীদের।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: