সংগৃহীত
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় প্রতিবছরের মতো এবারও কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ১২ হাজারের অধিক গরু, ছাগল, ভেড়া প্রস্তুত করা হয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে বিক্রির জন্য বিভিন্ন হাটে নেওয়া হবে।
আবার অনেক খামারি তারা খামারে রেখেই গবাদিপশু বিক্রি করার জন্য স্যোশাল মিডিয়া এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনলাইন হাটে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। তার মধ্যে অনলাইন কোরবানির পশুর হাট, কেন্দুয়া নেত্রকোনা এবং কোরবানি হাট, নেত্রকোনা উল্লেখযোগ্য।
স্থানীয় প্রবাস ফেরত শামীম বেগম নামে একজন খামারি জানান, প্রতিবছরের মতো এইবার ঈদেও তার খামারে ৩০টি গবাদিপশু ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। তবে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় অন্য যে কোনো বছরের তুলনায় লাভের পরিমাণ কম হবে। এ ছাড়া তালুকদার ফ্যাটেনিং ফার্মে ৪০ গরু এবং জাহানারা অ্যাগ্রোতে প্রায় ৫০টি গরু লালন পালন করা হয়েছে।
খামারের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে নিজ বাড়িতে অনেকে একটি দুটি করে গবাদিপশু পালন করে নিজেদের কোরবানি চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে থাকেন। সোহেল আহমেদ নামে একজন জানান, প্রতিবছর তিনি দুটি গরু লালন পালন করে থাকেন। তিনি একটি গরু কোরবানি দিয়ে থাকেন অন্য একটি গরু বিক্রি করেন।
কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভাস্কর চন্দ্র তালুকদার জানান, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ১২ হাজারের অধিক বিভিন্ন জাতের গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। তার মধ্যে উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের আটিগ্রামের বুলবুল মিয়ার সাদাপাহাড় নামে সবচেয়ে বড় ষাঁড় গরু যার ওজন প্রায় ৩৫ মন।
এছাড়াও খামারের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে পালন করা হয়েছে বিভিন্ন জাতের গবাদিপশু। উপজেলার চাহিদার অতিরিক্ত কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাবে। আবার অনেক জেলার পশুও এ উপজেলায় আসবে। তবে কেন্দুয়া উপজেলায় কোরবানি পশুর কোনো সংকট হবে না বরং চাহিদার অতিরিক্ত পশু রয়েছে।
সূত্র: কালবেলা