শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

খুলেছে সব পোশাক কারখানা

খুলেছে সব পোশাক কারখানা

সংগৃহীত

দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে নানা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা। দফায় দফায় কর্মসূচি ঘোষণা করে কর্মবিরতি পালন করেছেন তারা। তবে মঙ্গলবার শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নিয়েছে মালিকপক্ষ। ফলে বুধবার থেকে খুলেছে সব শিল্প কারখানা।

বুধবার সাভার, গাজীপুরে বেশিরভাগ তৈরি পোশাক কারখানায় চালু রয়েছে উৎপাদন কার্যক্রম। কারখানা এলাকায় নিরাপত্তাজনিত কারণে পুলিশ মোতায়েন ছাড়াও রয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল।

কর্মস্থলে যোগ দিয়ে শ্রমিকেরা বলছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় তারা বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন। এখন দাবি মানায় খুশি তারা। আশা করছেন, শান্তিপূর্ণভাবে এখন সবাই কাজ করতে পারবেন।

এর আগে মঙ্গলবার সচিবালয়ে চলমান শ্রমিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মালিক ও শ্রমিকপক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়। এরপরও অস্থিরতা তৈরি হলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

সরকার পতনের পর আগস্টের শেষ দিকে সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু হয়। ন্যূনতম মজুরি পুনর্নির্ধারণ, শ্রম আইন সংশোধনসহ ১৮ দফা দাবি তাদের। তবে এই বিক্ষোভে বিদেশি ইন্ধনের কথাই বারবার বলে এসেছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসও ছিল।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, কষ্ট হলেও সব কিছু বিবেচনা করে দাবি মেনে নিতে সম্মত হয়েছেন মালিকেরা। শ্রমিকদের কোনো দাবি থাকলে, রাস্তায় না নেমে মালিকদের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান।

শ্রমিক নেতা কুতুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, সুযোগ পেলেই যেন অস্থিরতা তৈরি না করা হয়। যে যার কাজে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

এই সিদ্ধান্তের পরও বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করা হলে, সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রম উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে সমস্যা সমাধান হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সমস্যাগুলোও সমাধান করা হবে। বুধবার থেকে কাজে ফিরতে শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানাই। মালিক-শ্রমিক কোনো পক্ষ থেকে অসহযোগিতা থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শুধু দাবি মেনে নেওয়া নয়, ন্যূনতম মজুরিকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করার কথাও জানিয়েছেন উপদেষ্টা।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

সর্বশেষ: