রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১

হাঁপানি নিরাময় করে শ্বেতকাঞ্চন ফুল

হাঁপানি নিরাময় করে শ্বেতকাঞ্চন ফুল

সংগৃহীত

শ্বেতকাঞ্চন (ইংরেজি: : Dwarf White Bauhinia, বৈজ্ঞানিক নাম: Bauhinia acuminata) হচ্ছে Fabaceae পরিবারের একটি গুল্ম প্রজাতি। সাদা কাঞ্চন শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, গাছটি গুণেও অনন্য। আমাদের দেশে অনেক ধরনের ফুলের মধ্যে শ্বেত কাঞ্চন ফুল অনেক পরিচিত একটি ফুল। এটি খুবই সহজলভ্য একটি ফুল। এই ফুল পথের ধারে এবং পার্ক বা উদ্যানে দেখতে পাওয়া যায়। প্রায় সারা বছর গাছে শ্বেত কাঞ্চন ফুল ফুটতে দেখা যায়। বর্ষাকালে এ ফুলের শোভা বেশি দেখতে পাওয়া যায়। বসন্তের প্রথমদিকে ডালপালাজুড়ে থাকে শুধুই ফুলের উৎসব।

সাদা বা শ্বেত কাঞ্চন মূলত গুল্মজাতীয় গাছ। তবে কখনো কখনো একটু বড়ও হতে পারে। এদের কাণ্ড নীচু, শাখাপ্রশাখা অনেক এবং কিছুটা ছড়ানো ছিটানো ধরনের। কাঞ্চনের পাতা তার অনন্য বৈশিষ্ট্য। দুটি পাতা জোড়া দিলে দেখতে যেমন, পাতার শেষ প্রান্ত অবিকল সে রকম।

কাঞ্চন গাছ শীতকালে সব পাতা ঝরিয়ে একেবারে মরার মতো দাঁড়িয়ে থাকে। এ অবস্থাতেই গাছ জুড়ে দুধসাদা রঙের ফুলের মেলা বসে। ফুলগুলো পাতার কোলে গুচ্ছবদ্ধভাবে ফুটতে থাকে, পাপড়ি সংখ্যা ৫, ৫ সেন্টিমিটার চওড়া এবং মুক্তভাবে ছড়ানো।

গাছে ফুল অবশিষ্ট থাকতেই শিমের মতো চ্যাপ্টা ফল ধরে। ফলগুলো একসময় শুকিয়ে গিয়ে আপনা আপনিই ফেটে যায়। তখন বীজগুলো ছড়িয়ে পড়ে। ভারতের শুষ্ক অঞ্চলের অরণ্যভূমি এদের আদি নিবাস। কাঞ্চন গাছের বাকল থেকে মাটি, রং ও দড়ি তৈরি করা যায়।

শ্বেত কাঞ্চন ফুলের উপকারিতা-

ক্ষত নিরাময়ে: শরীরের কোন স্থান কেটে গেলে শ্বেত কাঞ্চন ফুল এর পাতা কাজে লাগানো যায়। প্রথমে এর পাতা নিয়ে থেতো করে নিতে হবে। এরপর এটি ক্ষত স্থানে প্রলেপ দিলে ক্ষত দ্রুত ভালো হয়ে যায়।

হাঁপানি নিরাময়ে: প্রথমে শ্বেত কাঞ্চন গাছের ছাল পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এবার এই ক্বাথ সকাল ও বিকালে সেবন করলে হাঁপানি রোগে ভাল উপকার পাওয়া যায়।

কুষ্ঠ রোগ নিরাময়ে: প্রথমে শ্বেতকাঞ্চন গাছের পাতা নিয়ে পিষে একটি মণ্ড করে নিতে হবে। এরপর এই মণ্ড কুষ্ঠ রোগের ঘায়ে লাগালে ঘা দ্রুত ভালো হয়ে যায়।

বিষ কাটাতে: প্রথমে শ্বেতকাঞ্চনের শিকড় সিদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর এই পানি ছেঁকে সেবন করলে সর্প দংশনের বিষ নেমে যায়।

পেটের পীড়া নিরাময়ে: শ্বেতকাঞ্চন গাছের পাতা ও ছাল সিদ্ধ করে এই ক্বাথ মধুর সাথে মিশিয়ে সেবন করলে পেটের পীড়ায় উপকার পাওয়া যায়।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

সর্বশেষ: