রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১

পেটের পীড়ার প্রতিষেধক হিং

পেটের পীড়ার প্রতিষেধক হিং

সংগৃহীত

হিং একটি মসলা জাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Ferula assa-foetid। এটি Apiaceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এর স্থানীয় নাম হিং, হিঙ্গ। হিং একটি গুরুত্বপূর্ণ হারবাল। তরকারির সুগন্ধি বাড়ানোর জন্যও হিং ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ডাল এবং আচারে হিং ব্যবহার করা হয়। কোনো কোনো স্থানে এর নির্যাস বা আঠা ব্যবহার করা হয়। দুই ধরনের হিং রয়েছে- একটি হচ্ছে টার্নিং রেড, এটা খোলা জায়গায় রাখলে লাল ও বাদামি রং ধারণ করে। আর একটি সাদা।

ভারতীয় উপমহাদেশে হিং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।  একেক অঞ্চলে এটি একেক নামে পরিচিত। তবে ‘হিং’ নামে সুপরিচিতি পেয়েছে। ফেরুলা গোত্রের উদ্ভিদের মূল থেকে সংগৃহীত হয়। তবে ভারত ও নেপালের মতো বেশ কয়েকটি দেশে হিং চিকিৎসার উপকরণ হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। প্রাচীন কাল থেকে ভারতবর্ষে সনাতন পদ্ধতিতে ওষুধ তৈরিতে হিং ব্যবহার হয়ে আসছে।

হিং বাংলাদেশের সর্বত্র পাওয়া যায়। হিং মসলার পাশাপাশি ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। হিং এর উৎপত্তিস্থল হচ্ছে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল এবং মধ্য এশিয়া। আরব দেশের চিকিৎসকরা প্রাচ্য থেকে এ অঞ্চলে হিং এর প্রবর্তন করেন। কান্দাহার, ইরান, এবং আফগানিস্তানে উৎপাদন করা হয়। এর অন্য একটি প্রজাতি কাশ্মীর, পশ্চিম তিব্বত এবং আফগানিস্তানে উৎপাদন করা হয়।

পুষ্টিগুণ:

হিং-এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। কারণ প্রতি ১০০ গ্রামে হিং এ রয়েছ জলীয় পদার্থ ১৬.০%, প্রোটিন ৪.০%, ফ্যাট ১.১%, মিনারেল ৭.০%, আঁশ ৪.১%, কার্বোহাইড্রেট ৬৭.৮%, মিনারেল এবং ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ৬৯০%,ফসফরাস ৫০%, আয়রন ৩৯.৪%, ক্যারোটিন ৪ %, রাইবোফ্লাভিন ০.০৪%, নিয়াসিন ০.৩ %, ক্যালরি রয়েছে ২৯৭ ই ইউ।

ঔষধিগুণ:

১. হিং এর পানিতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান ফলে হজমের সমস্যা ছাড়াও এটি এসিডিটি ভালো করে।

২. হিং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে সহজে ডায়াবেটিস হয় না।  

৩. প্রতিদিন হিং এর পানি খেলে হাড় শক্ত হয়।  

৪. হিং এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান অ্যাজমার জন্য উপকারী।   

৫. হিং-এর বেটা ক্যারোটিন চোখের যত্ন নেয়। চোখ শুষ্ক হতে দেয় না এবং চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।  

৬. হিং খেলে দাঁত মজবুত থাকে।

৭. হিং ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৮. পেট ফাঁপাজনিত ব্যথায়, হুপিং কাশিতে, কলেরা, অর্জীর্ণ ও খিঁচুনি রোগে হিং খুবই উপকারী।

৯. হৃদ্‌যন্ত্রের অসুখ, শিশুদের ব্রংকাইটিস ও নিউমোনিয়া রোগে হিং ভাল ঔষধ।

১০. শ্বাসতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্রের পক্ষে হিং এক উত্তেজক ভেষজ।

১১. হিং গাছের কষ কাকঁড়া ও বিছার দংশনের যন্ত্রণায় উপকারী। পেটের পীড়ার প্রতিষেধক। বায়ুরোগ এবং মূর্ছারোগে হিং উপকারী।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

সর্বশেষ: