অফ সিজনে বাম্পার ফলন হচ্ছে তরমুজের। তরমুজ চাষ করে আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। ফেব্রুয়ারি-মে মাস পর্যন্ত গরমকালে সুস্বাদু তরমুজ বাজারে পাওয়া যায়। তবে এখন আর মৌসুমি ফল নয় এটি। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাস বাদে বছরের বাকি ১০ মাসই চাষ হচ্ছে অফ সিজনের তরমুজ।
কৃষক হেলিম মড়ল বলেন, কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে আমরা ছয়জন কৃষক মিলে উপজেলায় সর্বপ্রথম মালচিং পেপার ব্যবহার করে তরমুজ চাষ শুরু করেছি। মালচিং পদ্ধতি কৃষকদের শাক-সবজি উৎপাদনে একটি আধুনিক প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবজি জাতীয় ফসল আবাদ করলে আগাছা হয় না। গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। পোকা-মাকড়ের আক্রমণও কম হয়। গাছ সুস্থ-সবল হয়, ফলনও হয় বেশি।আরেক ক্রিশক সামির জানান, তিনি ৭০ শতক জমিতে সিনজেনটার সুগার কুইন জাতের তরমুজের চারা রোপণ করেছেন। রোপণকৃত গাছগুলোতে তরমুজ ধরতে শুরু করেছে। প্রতি ১০ শতক জমিতে তরমুজ চাষে ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। এতে আয় হবে প্রায় ৫০হাজার টাকা। এ হিসেব অনুযায়ী তিনি ৭০শতক জমি থেকে ৩ লাখ ৫০হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকের তৈরি মাচার নিচে শতশত তরমুজ ঝুলে রয়েছে। তরমুজের ওজন ধরে রাখার জন্য নেট ব্যাগ দিয়ে মাচার সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। বালাইমুক্ত রাখতে তরমুজ বাগানে সেক্স ফেরোমেন ফাঁদ বসানো হয়েছে। এতে পোকা-মাকড়ের হাত থেকে তরমুজগুলো রক্ষা পাবে। তরমুজগুলো হবে বিষমুক্ত। লতানু গাছের তরমুজগুলোর গায়ের রং কালো, ভেতরে টকটকে লাল। সারা বছর জল ও স্থলে পতিত জায়গায় মাটি কেটে বেড তৈরি করে মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজের চারা রোপণ করা হয়। চারাগুলো বেড়ে ওঠার জন্য বেডের পাশে পানির উপর মাচা তৈরি করে দেওয়া হয়। চারা রোপণের ৩০ দিনের মধ্যে ফুল ও ফল ধারণ করে। অর্থনৈতিকভাবে বেকার যুবক ও কৃষককে স্বাবলম্বী করে তুলতে অফ সিজনে তরমুজ চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
দৈনিক বগুড়া