রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায় কী?

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায় কী?

দিন যত যাচ্ছে মানুষের বয়স আর কাজের চাপ তত বাড়ছে। আর এই চাপের কারণে অনেকের স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞানীয় ক্ষমতা লোপ পাচ্ছে। দক্ষতার সঙ্গে দৈনন্দিন কাজগুলো করা, চিন্তাভাবনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া ও ব্যবসায়িক সফলতা অর্জনের ক্ষেত্রে স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞানীয় ক্ষমতা খুবই জরুরি।

গবেষণা বলছে, ব্যায়াম, খাদ্যাভাস ও কিছু কিছু অ্যারোবিক্স মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন নিজের জন্য কিছু সময় রাখুন। গড়ে তুলুন ৬টি অভ্যাস। এতে মস্তিষ্ক হবে তীক্ষ্ণ, বাড়বে জ্ঞানীয় ক্ষমতা।

ব্যায়াম মস্তিষ্কের আকার বাড়ায়

শরীরচর্চা করলে দেহের পেশীর সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের আকার ও সিন্যাপসের পরিমাণ বাড়ে। মগজে সৃষ্টি হয় নতুন কোষের। এতে করে মগজে বেশি পরিমাণে অক্সিজেনের মাত্রা ও গ্লুকোজ সরবরাহ হয়। আর আপনি যদি প্রাকৃতিক পরিবেশে ব্যায়াম করেন, তাহলে ফ্রি পাচ্ছেন ভিটামিন ডি।

হাঁটাচলা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়

আপনি যদি সকাল-বিকেল নিয়মিত হাঁটেন তাহলে আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়বে। গবেষণায় এটি প্রমাণিত। যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা নিয়মিত হাঁটতে বের হন। কোনো বাক্য বা উক্তি আপনি যদি হেঁটে হেঁটে মুখস্থ করেন, তবে সেটা বহুদিন ধরে আপনার মনে থাকবে।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস বেছে নিন

যেসব খাবার খুব পছন্দের সেগুলো খেলে মস্তিষ্কের ‘রিওয়ার্ড এরিয়ায়’ ডোপামিন রাসায়নিক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে মনে খুশির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তবে মস্তিষ্কের শক্তিবৃদ্ধির পাশাপাশি পেটের দিকেও নজর রাখতে হবে। মানুষের দেহের পরিপাকতন্ত্রে ১০০ ট্রিলিয়নেরও বেশি অণুজীবের বসবাস।

এরা মস্তিষ্কের সঙ্গেও সংযোগ রক্ষা করে চলে। মগজের সুস্থতার জন্য এই অণুজীবগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রাখা জরুরি। তাই নিজের স্মৃতিশক্তি ধরে রাখার ব্যাপারে খুবই সচেতন হন। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বেছে নিন। খাবারে রাখুন ছোট মাছ ও শাকসবজি।

খুঁজে নিন অবসর

স্বল্প মাত্রার মানসিক চাপ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এতে বিপদের সময় কিংবা দুঃখের সময় পরিস্থিতিকে সামলানর মানসিক শক্তি পাওয়া যায়। তবে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ মস্তিস্কের জন্য খুবই খারাপ।

তাই কাজের ফাঁকে অবসরের সময় বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিতে অবসর খুঁজে বের করুন। ঘুরে আসুন কোনো অজানায়।

কল্পনার দুনিয়ার শরিক হোন

কল্পনাশক্তি শুধু মনকেই নরম করে না, স্মৃতিকেও ক্ষুরধার করে। তাই শিশুদের সঙ্গে সময় দিন, তাদের সঙ্গে খেলায় মেতে উঠুন। রূপকথার গল্প পড়ার ফাঁকে নিজের কল্পনাকেও ঝালিয়ে নিন। এতে মস্তিষ্ক সক্রিয় হবে।

সঠিক সময়ে ঘুম

স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ঘুম অত্যন্ত উপকারী। রোজ রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান ও ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠুন। কারণ ঘুম মস্তিষ্কের সক্রিয়তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। চেষ্টা করুন রাত ৯-১০টার মধ্যে ঘুমোনোর। নিয়ম মেনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান।

এছাড়া মন ও শরীর শান্ত রাখার জন্য নিয়মিত মেডিটেশন করুন, গান শুনুন, প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন ও সবার সঙ্গে প্রাণ খুলে হাসুন।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: