সংগৃহীত
বর্তমান যান্ত্রিক সভ্যতায় অসল থাকার সুযোগ খুব একটা থাকে না। নিরলস ছুটতে হয় জীবনের জন্য। আর এমন দ্রুত এগিয়ে চলা জীবনে আলাদা করে টিফিন বা নাস্তা বানানোর সময় খুব কম মানুষের কাছেই রয়েছে। তাই অনেকেই অফিস, কলেজ, ইউনিভার্সিটি গিয়ে দুপুর বেলায় দোকানের খাবার খেয়েই কাটান। কিংবা ফুড ডেলিভারি অ্যাপ থেকে কিছু একটা অর্ডার করে মুখে তুলে নেন। আর এমন ভুলের কারণেই শরীরের বেজে যায় বারোটা।
তাই চেষ্টা করুন দুপুরের দিকে বাইরের খাবার না খাওয়ার। আর একান্তই যদি দোকান থেকে কিনে খেতে হয়, তাহলে অবশ্যই কয়েকটি খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। চলুন জেনে নেই সেসব খাবারগুলো সম্পর্কে।
পিৎজা ও বার্গার
দুপুর বেলায় অনেকেই পিৎজা বা বার্গার খেয়ে নেন। আর এই ধরনের খাবার নিয়মিত খাওয়ার কারণে তাদের শরীরের পিছু নেয় গ্যাস, অ্যাসিডিটি থেকে হাই কোলেস্টেরল, হাই প্রেশারের মতো একাধিক জটিল সমস্যা।
শুধু তাই নয়, এই ধরনের খাবারের ক্যালোরি ভ্যালু খুব বেশি। এমনকি এগুলোতে অত্যধিক পরিমাণে ফ্যাটও থাকে। যার দরুন নিয়মিত পিৎজা, বার্গার খেলে হুট করে বেড়ে যেতে পারে ওজন। তাই চেষ্টা করুন এদের থেকে দূরে থাকার।
খাসির মাংস
খাসির মাংসের প্রেমে পাগল বাঙালি। তাই সময়-সুযোগ হলেই অনেকে দুপুরে খাসির মাংস আনিয়ে নেন। আর এই ভুলের দরুন ভুগতে থাকে তাদের শরীর। কারণ, খাসির মাংস হজম করা খুবই কঠিন কাজ। এমনকি এতে মজুত স্যাচুরেটেড ফ্যাট বাড়াতে পারে খারাপ কোলেস্টেরল। যার ফলে বিপদে পড়ে হার্ট। তাই চেষ্টা করুন হোটেল থেকে খাসির মাংসের পদ কিনে দুপুরে না খাওয়ার। আশা করছি, এই নিয়মটা মেনে চললেই সুস্থ থাকবেন।
কোল্ড ড্রিংকস থেকে দূরে থাকুন
আপনি কি প্রতিদিন লাঞ্চ করার পর কোল্ড ড্রিংকস খান? ভাবেন, তাতেই খাবার দ্রুত হজম হয়ে যাবে? তবে এই ধারণার পিছনে কোনো বিজ্ঞানভিত্তি নেই। কারণ, কোল্ড ড্রিংকস অত্যন্ত ক্ষতিকর একটা পানীয়। এই ড্রিংকসে প্রচুর পরিমাণে সুগার এবং প্রিজারভেটিভস মেশানো থাকে। যার ফলে এই পানীয়ে চুমুক দিলে বাড়ে ওজন। সেই সঙ্গে শরীরের পিছু নিতে পারে একাধিক জটিল অসুখ। তাই চেষ্টা করুন যেন তেন প্রকারেণ কোল্ড ড্রিংকসের মতো পানীয়ের থেকে দূরে থাকার।
তাহলে দুপুরে কী খাবেন?
পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, দুপুরের দিকে আপনাকে ভাত-ডাল বা রুটি-তরকারির ওপরই ভরসা রাখতে হবে। সেই সঙ্গে পাতে রাখুন মাছ, ডিম, সয়াবিন, পনিরের মতো কোনও একটি প্রোটিন জাতীয় খাবার। আর লাঞ্চ করার প্রায় ১ ঘণ্টা পরে ফল খান। তাতেই শরীর ও স্বাস্থ্য থাকবে সুস্থ-সবল। উপকার মিলবে হাতেনাতে।
সূত্র: যুগান্তর