বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ড্রাগন ফলের অনেক গুণাগুণ

ড্রাগন ফলের অনেক গুণাগুণ

সংগৃহীত

ড্রাগন এখন বাংলাদেশে বেশ পরিচিত ফল। প্রায় সারা বছরই বাংলাদেশে ড্রাগন পাওয়া যায়। একটা সময় এই ফল বিভিন্ন দেশ থেকে আসতো বেশি। এখন দেশেই চাষ হয়। এই ফলের উপকারিতা অনেক।

ড্রাগন ফলে রয়েছে আঁশজাতীয় উপাদান, যা আমাদের হজমে সাহায্য করে। দীর্ঘ সময় পেট ভরে রাখে। ফলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পরিণামে কমে যায় রক্তের বাড়তি চিনি। নিয়ন্ত্রণে থাকে ডায়াবেটিস। দারুণ সব পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সুপারফুড স্বাস্থ্য সচেতনদের নিত্যকার খাদ্যাভ্যাসে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এমনি আরও অনেক গুণাগুণ ড্রাগন ফলে রয়েছে।

ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিজেন আছে। ক্যালসিয়াম আছে ভালো পরিমাণে। যাদের বোন ডেনসিটি বা হাড়ের কোনো সমস্যা আছে তাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করার জন্য ড্রাগন ফল অত্যন্ত উপকারী।

ওমেগা ৩ উপাদানটি শরীর তৈরি হয় না। এটি বাইরে থেকেই কোনো না কোনোভাবে তৈরি করতে হয়, যেটা আমরা মাছ থেকে পাই। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ পাওয়া যায়। তাই অন্য যেকোনো ফলের তুলনায় শরীরে ওমেগা ৩ এর চাহিদা পূরণে কার্যকরী ড্রাগন। পিসিওএসের সমস্যার জন্য নারীদের ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ খাবারের পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশি। ওবেসিটি নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ওমেগা ৩ গুরুত্বপূর্ণ।

ড্রাগন ফলে ভিটামিন বি ও থায়ামিনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। ড্রাগন ফলে যে ছোট ছোট সিডগুলো থাকে তাতে আছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি, প্রোটিন। ড্রাগনে আয়রনও পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে।

বাচ্চাদের ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিনের চাহিদা পূরণে ড্রাগন ফল দেওয়া যেতে পারে। চোখের সমস্যা বা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে শুধু বাচ্চাদেরই নয়, বড়দের শরীরেও ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিনের যোগান দেয় ড্রাগন ফল।

ড্রাগনে থাকে ফাইবারও। কোলনের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলাস এ ধরনের ক্ষেত্রে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য ফাইবার অনেক বেশি দরকার হয়।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

সর্বশেষ: