রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১

বন্যার্তদের জন্য ২০ হাজার ডলার অনুদান দিল চীন

বন্যার্তদের জন্য ২০ হাজার ডলার অনুদান দিল চীন

সংগৃহীত

বাংলাদেশের চলমান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ২০  হাজার মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে চীন। গতকাল রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এই অনুদানের চেক তুলে দেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনা রেড ক্রসও বাংলাদেশের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য এক লাখ মার্কিন ডলারের মানবিক সহায়তা প্রদান করবে। প্রধান উপদেষ্টা সবুজ অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে চীনের কিছু সোলার প্যানেল কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের আহবান জানিয়েছেন।

তিনি বেইজিং ও ঢাকার মধ্যে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর জোর দেন এবং চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তরের আহবান জানান।

ড. ইউনূস বলেন, ‘চীনা উৎপাদনকারীরা তাঁদের সোলার প্যানেল কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করতে পারেন। এটি বাংলাদেশকে রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ ও সবুজ অর্থনীতিতে রূপান্তরে সহায়তা করবে।’

তিনি উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে চীনে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানি সম্প্রসারণের আহবান জানান।

তিনি উভয় দেশের মধ্যে প্রযুক্তি স্থানান্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা ও কৃষি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোরও আহবান জানান।

বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করায় চীনা নেতাদের এবং জনগণের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানান। রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বেইজিং ঢাকার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত এবং আমি আশাবাদী যে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নপূরণ সফল হবে।’

তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আরো উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ হবে।

ইয়াও ওয়েন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতাকবলিত অঞ্চলে অস্ত্রবিরতির মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান খুঁজে পেতে চীনা সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।

বৈঠকে ড. ইউনূস আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে চীন বাংলাদেশে বসবাসরত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রাজনৈতিক, আর্থিক ও মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

প্রধান উপদেষ্টা চীনে তাঁর স্মৃতি স্মরণে বলেন, চীনের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনূস সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে এবং অনেক তরুণ থ্রি-জিরো ক্লাব গঠন করেছেন। এসব ক্লাবের সদস্যরা দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি দুই দেশের তরুণ সম্প্রদায় ও জনগণের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

 বৈঠকে চীনা রাষ্ট্রদূত ড. ইউনূসকে তাঁর সুবিধাজনক সময়ে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি সন্ধিক্ষণ পার করছে, তবে বাংলাদেশের জনগণ এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে সক্ষম হবে।

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ: