গ্রীষ্মকালীন সুস্বাদু ফল তরমুজ সকলের কাছেই একটি প্রিয় ফল। এবার সেই তরমুজ প্রথম বারের মত চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে যাচ্ছে মালেশিয়া। সম্পূর্ন শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত একটি কনটেইনারে করে চালানটি রপ্তানি হচ্ছে। আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে চালানটি মালয়েশিয়া পৌঁছাবে। প্রাথমিকভাবে সফল হলে দেশে উৎপাদিত এ ফল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানো যাবে। এতে করে আয় করা যাবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হতে যাওয়া তরমুজগুলো উৎপাদিত হয়েছে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায়। দুজন উদ্যোক্তা কঠোর পরিচর্যার মাধ্যমে রপ্তানিযোগ্য এসব তরমুজ উৎপাদন করেছেন। প্রাথমিকভাবে দুই কৃষকের মোট ১৩ হাজার ৩২০ কেজি ওজনের তরমুজ রপ্তানি করা হচ্ছে।
বগুড়া শিবগঞ্জ কৃষি দপ্তর থেকে জানা যায়, মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হতে যাওয়া তরমুজগুলো উপজেলার মহস্তান গ্রামের কৃষক জাকির ফরাজি ও মুকুল মিয়ার ক্ষেতে উৎপাদন হয়েছে। তাদের ক্ষেতে উৎপাদিত তরমুজ রপ্তানি করছে চট্টগ্রামের হালিশহরের সাত্তার ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো তরমুজ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। রেফার্ড কনটেইনারে চালানটি (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
দেশে উৎপাদিত তরমুজ এভাবে বিদেশে রপ্তানি করা গেলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দৈনিক বগুড়া