বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

বগুড়ায় আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা

বগুড়ায় আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা

বগুড়ার কাহালুতে এখন সবুজের সমারোহে বিস্তীর্ণ আমন ধানের মাঠ। সবুজ ধানের হেলে পড়া শীষ কৃষককে জানান দিচ্ছে "শীষ দেখলে বিশ দিন" মাথা হাললে দশ দিন "সেই  প্রাচীন প্রবাদের কথা। এই প্রবাদ মেনে আমন ধান ঘরে তোলার অপেক্ষায় দিন গুনছেন কৃষক।

নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে পুরোদমে আমন ধান ঘরে তোলার ভাবনা কৃষকদের। আবহমান গ্রাম বাংলার ঋতু বৈচিত্র্যের কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাস হেমন্ত কাল আসলেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে আমন ধান কাটার ধুম পড়ে যায়। 

নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। নানা ব্যস্ততায় বাড়ির খলিয়ানে চলে ধান মাড়াইয়ের মহোৎসব। এরই মধ্যে আগাম জাতের কিছু আমন ধান জমিতে পাকতে শুরু করেছে। গত আগস্ট  মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রবল বর্ষণে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় রোপা আমন ধানের চারা তলিয়ে গেলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়  চলতি রোপা আমন ধানের আবাদ এবার ভালো হয়েছে। 

আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। উপজেলা কৃষি অফিস  সূত্রে জানা গেছে, কাহালু উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নে মোট ১৮ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ হাজার ৮৮০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল উফশী জাতের ও  অবশিষ্ট জমিতে হাইব্রিড ধানের চাষ হয়েছে। চলতি আমন মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৬শ ৪৫ মেঃ টন। 

কাহালু সদর ইউনিয়নের কৃষক মোঃ আবুল কাশেম জানান, আমন ধান রোপনের সময় জমিতে অপর্যাপ্ত পানি থাকায় ধানের চারা রোপণে অসুবিধা হলেও পরবর্তীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি হওয়ায় এবার আমন ধানের আবাদ ভালো হয়েছে। তাছাড়া ধান গাছে পোকা মাকড় রোগ বালাই তেমন একটা না থাকায় কাঙ্ক্ষিত  ফলনে আমন ধান তুলতে পারবো। 

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, আমন ধানের চারা রোপণের পর থেকে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উঠান বৈঠকসহ মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের আমরা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছি। ধান গাছে রোগ বালাই কম হওয়ায় ও  আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: