সংগৃহীত
বগুড়ার সোনাতলায় চলতি বছর কৃষকরা সময় ও অর্থ সাশ্রয় করতে কৃষি শ্রমিকের পরিবর্তে হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটছে কৃষক। এতে দিন দিন ওই উপজেলায় কৃষিতে যান্ত্রিীকরণের প্রতিযোগিতা বাড়ছে কৃষকের মাঝে।
আজ বুধবার উপজেলার বালুয়াহাট, সোনাতলা, আড়িয়ার ঘাট, সালিকা, মধুপুর, হরিখালি, সাতবেকি, তেকানি চুকাই নগর, মহব্বতের পাড়া সরলিয়া, জৈন্তিয়ার পাড়া, পাকুল্লা, উত্তর করমজা, নিশ্চিন্তপুর, চরপাড়া, গোসাইবাড়ী, ঠাকুরপাড়া, ভেলুরপাড়া, নিমেরপাড়া, মধ্য দিঘলকান্দি, লোহাগাড়া, মহিচরণ এলাকা ঘরে দেখা গেছে কৃষকরা এবার কৃষি শ্রমিকের পরিবর্তে হারভেস্টর দিয়ে ধান কাটছে। এতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় করে অল্প সময়ের মধ্যে ধান কেটে ঘরে তুলতে সক্ষম হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জান গেছে, চলতি বছর বগুড়ার সোনাতলায় একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের ৯৬৩০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপ করা হয়েছে। গত বছর ছিল ৭ হাজার তিনশ’ ২০ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে চলতি বছর ৩ হাজার ২০০ হেক্টর জমির ধান কেটে ফেলেছে কৃষক।
এ বিষয়ে হাটকরমাজ এলাকার আনোয়ারুল ইসলাম টিপু বলেন, এবার তিনি ১২ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপ করেছিলেন। শ্রমিক সংকটের কারণে তিনি হারভেস্টার দিয়ে ৭০ ভাগ জমির ধান ইতিমধ্যে কেটে ফেলেছেন। প্রতি বিঘা জমি হারভেস্টর দিয়ে কাটতে ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা খরচ পড়েছে।
মহেশ পাড়া এরাকার সামছুর রহমান বলেন, এবার তিনি ১২ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপ করেছিলেন। শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে প্রতি বিঘা জমিতে তাকে গুনতে হয়েছে ৩২০০-৩৫০০ টাকা।
খাবুলিয়া এলাকার শিউলি বেগম বলেন, এলাকায় ধান কাটতে গেলে কৃষি শ্রমিক পাওযা যায় না, দুই একজন পাওয়া গেলেও তাদের দিন চুক্তিতে ৮০০-১০০০ টাকা দিতে হয়। এতে করে অর্থ বেশি গুনতে হয়। তাই তিনি অল্প সময়ে মাঠের ধান ঘরে তুলতে হারভেস্টার দিয়ে ধান কেটেছেন।
এবিষয়ে উজেলা কৃষি কর্মকতৃা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন দিন দিন বগুড়া সোনাতলার কৃষকরা কৃষি শ্রমিকের পরিবর্তে যান্ত্রিকীকরণের উপর ঝুঁকে পড়েছে। এতে করে অল্প সময়ে অনেক জমির ধান ঘরে তোলা সম্ভব হয়। খরচ কম, ধান মাড়াই করার দরকার হয় না। হারভেস্টর দিয়েই ধানকাটাসহ বস্তা ভরা সম্ভব হয়। তাই দিন দিন কৃষকরা ধান কাটার যন্ত্রে ওপর ঝুঁকছেন।