সংগৃহীত
সোনাতলার কৃষকেরা পেঁয়াজের স্থানীয় চাহিদা পূরণে এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে পেঁয়াজের চাষ করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদিত পেঁয়াজ স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বাজারে আমদানি করা সম্ভব হবে না। অপর দিকে মসলা জাতীয় এই ফসলটিতে উৎপাদন খরচ কম, লাভ বেশি, তাই এই ফসলের প্রতি কৃষকরা ঝুঁকে পড়েছে।
উপজেলার খাবুলিয়া, জন্তিয়ার পাড়া, সরলিয়া, মোহাব্বত পাড়া, ভিকনের পাড়া, তেকানি চুকাই নগর, মধুপুর, হরিখালি, হাসরাজ, উত্তর করমজা, হুয়াকুয়া, চরপাড়া, শ্যামপুর, আচারের পাড়া, গোসাইবাড়ী, ঠাকুরপাড়া, চরপাড়া, সোনাকানিয়া, সিচার পাড়া, ভেলুরপাড়া, ধর্মকুল, পাতিলাকুড়া, রশিদপুর, বালুয়াহাট, কর্পুর, হাজিলপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ওই এলাকা গুলোতে এবার ব্যাপক পেঁয়াজ রোপন করা হয়েছে।
ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। ফাজিলপুর এলাকার তোজাম্মেল হক বলেন, এটি একটি মসলা জাতীয় ফসল। এটি রোপনে উৎপাদন খরচ কম, লাভ বেশি। এ ছাড়া সাংসারিক প্রয়োজনে সারা বছর রান্নায় এর ব্যবহার হয়। তাই এ ফসলের প্রতি কৃষক দিন দিন ঝুঁকে পড়েছে।
জন্তিয়ার পাড়া এলাকার আজাদুল ইসলাম, খাবুলিয়া এলাকার তুহিন মিয়া, মহব্বতের পাড়া এলাকার সাঈদুর রহমান বলেন, এবার চরাঞ্চলের রেকর্ড পরিমাণ জমিতে কৃষক পেঁয়াজ চাষ করেছে। গোসাইবাড়ী গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ডলার বলেন, চলতি বছর সোনাতলা উপজেলায় শতাধিক কৃষককে বিনামূল্যে পেঁয়াজের বীজ ও সার প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক আমাদের ফসল তদারক ও পরামর্শ দিচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, এটি একটি মসলা জাতীয় শীতকালীন ফসল। সকল প্রকার রান্না বান্নায় পেঁয়াজের ব্যবহার হয়ে থাকে। এক সময় আমাদের দেশের কৃষকরা শুধুমাত্র ধান পাট আর মরিচ উৎপাদনে ব্যস্ত থাকতো।
ইদানিং কৃষকদের এই মসলা জাতীয় ফসলের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। এটি বপন কিংবা রোপনের ৮০-৯০ দিনের মধ্যে ঘরে তোলা সম্ভব হয়। এতে উৎপাদন খরচ কম। সেচের প্রয়োজন হয় না তেমন। তিনি আরও বলেন গত বছর এ উপজেলায় ৬২০ হেক্টর পেঁয়াজ চাষ হয়েছিল। এবার ১৭৩০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে।