সংগৃহীত
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনার চরাঞ্চলের জমিতে বিভিন্ন জাতের ফসল ফলাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এ বছরও কৃষকরা আগাম জাতের বেশ কিছু ফসল জমিতে চাষ করেছেন। ফলে চরাঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের ফসলের সবুজের সমারোহ সৃষ্টি হয়েছে।
যমুনার চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় চরজুড়ে এবার মরিচ, স্থানীয় জাতের গাইঞ্জা ও আমন ধান, পেঁয়াজ, মিষ্টিকুমড়া, লাউ, গম, ভুট্টা, মাষকলাই, চিনাবাদাম, ছোলা, বিভিন্ন জাতের ডালসহ নানা ধরনের শাকসবজিতে ভরে উঠেছে চরের বিস্তীর্ণ এলাকা। বেড়ে ওঠা ফসলের সবুজে ছেয়ে গেছে চরাঞ্চলের মাঠ।
কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের শোনপচা চরের আজাহার শেখ বলেন, তিনি প্রতিবছর মরিচের আবাদ করেন। এ বছর ৩০ বিঘা জমিতে মরিচ করেছেন। এর মধ্যে ১৩ বিঘা জমিতে হাইব্রিড। উপজেলার সদর ইউনিয়নের লেবু মিয়া বলেন, তিনি এ বছর ১০ বিঘা জমিতে হাইব্রিড মরিচসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ করেছেন।
তানভির ৪ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া এবং ১৩ বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছেন। একই ইউনিয়নের অন্তারপাড়া গ্রামের কৃষক বাটুল মিয়া ৯ বিঘা জমিতে ভুট্টা এবং ৫ বিঘা জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসলের আবাদ করেছেন।
উপজেলার শংকরপুর, ধারাবর্ষা, আওলাকান্দি, কাজলা, বাওইটোনা, কুড়িপাড়া, টেংরাকুড়াসহ ৮ ইউনিয়নের ৬৯টি চর এখন বিভিন্ন জাতের ফসলে ভরে উঠেছে। সারিয়াকান্দি কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এ বছর মরিচের আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৩১০ হেক্টর, পেঁয়াজ ৩০ হেক্টর, গম ৬৫০ হেক্টর, ভুট্টা ৬ হাজার ৫৫০ হেক্টর যা চলমান রয়েছে, মাষকলাই ৫৩০ হেক্টর, বোরোধানের বীজতলা ৫০৫ হেক্টর, আলু ২২০ হেক্টর, সরিষা ৩ হাজার ৫৮০ হেক্টর, মিষ্টিকুমড়া ৭৫ হেক্টর, রসুন ৫৫ হেক্টর, ছোলা ১ হেক্টর, মসুর ডাল ৯১৫ হেক্টর, খেসারি ৭৬০ হেক্টর, তিল ১৫ হেক্টর, চিনাবাদাম ৮১০ হেক্টর, মিষ্টিআলু ৪৯০ হেক্টর, কেসুর আলু ৪ হেক্টর, স্থানীয় জাতের গাইঞ্জা ১ হাজার ৮১০ হেক্টর এবং বিভিন্ন ধরনের সবজি ৬৮০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এসব ফসলগুলোর ৮০ ভাগই যমুনা চরে আবাদ হয়েছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, গত বছরের মতো বন্যা কম হওয়ায় এবারও কৃষকরা আগামভাবে চরাঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা বাম্পার ফলন পাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।