বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকায় কৃষক পর্যায়ে শুরু হয়েছে জিরা চাষাবাদ। কৃষি অফিসের সহায়তায় প্রদর্শনীর মাধ্যমে সর্ব প্রথম এই এলাকায় স্বল্প পরিসরে জিরার চাষ করছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যে জিরার গাছগুলো বড় হয়ে ফুল আসতে শুরু করেছে। জিরার এমন ফলন দেখে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। জিরা চাষে সফলতার মুখ দেখবেন এমনটি আশা করছেন তারা।
জানা যায়, মসলা জাতীয় ফসলের মাঝে জিরা অন্যতম। জিরা শীতকালীন মসলা জাতীয় ফসল। দেশে যে পরিমাণ জিরার চাহিদা তার সম্পূর্ণটাই আমদানির উপর নির্ভর করে। আমাদের দেশে প্রতি বছর জিরার চাহিদা থাকে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মেট্রিক জাতের জিরা বাজারে প্রাপ্ত জিরা অপেক্ষা অধিক সুগন্ধি। আর হেক্টর প্রতি ফলন ৫৫০ থেকে ৬০০ কেজি।
শিবগঞ্জ উপজেলার রহবল ব্লকে কর্মরত উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. সাইফুর রহমান জানান, জিরা একটি অতি মূল্যবান এবং চ্যালেঞ্জিং মসলা জাতীয় ফসল। গত বছর থেকে জিরার চাষাবাদ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। জিরা ফসলের রোগবালাই অন্যান্য মসলা জাতীয় ফসলের তুলনায় একটু বেশি হয়ে থাকে। এ জন্য জিরা চাষে নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন। জিরার রোগবালাইয়ের আক্রমণ প্রতিরোধে নিয়ম অনুযায়ী বালাইনাশক স্প্রে করতে হয়। এখন পর্যন্ত আমার ওয়ার্ডে চাষকৃত জিরার অবস্থা বেশ ভালো। প্রতিটি গাছে ফুল-ফল চলে এসেছে। কোনো ধরনের প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা না আসলে আগামী এক মাসের মধ্যে জিরা সংগ্রহ করা যাবে।
জিরার চাষাবাদ এ বছর স্বল্প পরিসরে হলেও আমাদের বাস্তবায়িত প্রদর্শনী থেকে উৎপাদিত জিরা বীজ হিসেবে ব্যবহার করে আগামী মৌসুমে এর আবাদ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। আশা করছি ফলন ভালো হলে চলতি বছরের চেয়ে আগামীতে বগুড়ায় জিরার চাষ বৃদ্ধি পাবে।