সংগৃহীত
বগুড়ার সোনাতলা যমুনার চরাঞ্চলের বালুমাটির পতিত জমিতেই কৃষকের ঘাম ও শ্রমে উৎপাদন হচ্ছে নানা জাতের ফসল। যেমন ভুট্টা, গম, পিঁয়াজ, মরিচ, বাদাম, কালোজিরা, মাসকলাইসহ নানা জাতের ফসলে ছেয়ে আছে চরের মাঠঘাট।
চরে শ্যালো মেশিনের সাহায্যে পানি নিয়ে ফসলের ক্ষেতে সেচ দিচ্ছেন এখানকার কৃষকরা। কয়েকজন কৃষক জানান, চরাঞ্চলের পতিত বালুময় মাঠে বিভিন্ন জাতের উচ্চফলনশীল এসব ফসল ফলিয়ে এখন স্বাবলম্বী তারা। বিশেষ করে পিয়াজ, মরিচ ও ভূট্টা চাষে বেশি লাভবান হচ্ছে এখানকার মানুষ।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এ উপজেলার যমুনা তীরবর্তী দুটি ইউনিয়নে চরাঞ্চলের এবার ৩৪০ হেক্টর জমিতে পিঁয়াজ, ৯১০ হেক্টর জমিতে মরিচ ও ৪৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা লক্ষ মাত্রা। এছাড়াও বিভিন্ন জাতের ফসল রয়েছে চরে। যা থেকে বছরে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদন করছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, চরের মাটিতে সহনশীল ফসল চাষাবাদ করতে আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা চরাঞ্চলের কৃষকদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে উদ্ভাবিত বিভিন্ন নতুন জাতের ফসল চাষে উৎসাহিত করতে প্রণোদনাও দেয়া হচ্ছে।