শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

ধুনটে বিভিন্ন জাতের বরই চাষে সফল তরুণ উদ্দোক্তা শামসুল আল-আমীন

ধুনটে বিভিন্ন জাতের বরই চাষে সফল তরুণ উদ্দোক্তা শামসুল আল-আমীন

সংগৃহীত

বগুড়ার ধুনটে বাণিজ্যিক ভাবে বল সুন্দরী, আপেল কুল, কাশ্মমীরি, ইন্ডিয়ান সুন্দরী, বাউফুল, অস্ট্রালিয়েড বিভিন্ন জাতের বরই চাষ হলেও টককুল জাতের বরই চাষ হয়নি। তবে এ মৌসুমে বাণিজ্যিক বরই চাষাবাদ করে নিজের ভাগ্য বদল করেছেন উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের তরুণ উদ্যোক্তা সামসুল আল আমিন। তার সফলতা দেখে অনেকেই বরই চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

উপজেলার মানিক পোটল আইডিয়াল এগ্রো ফার্মে কৃষক সামসুল আল আমিন চোখ জুড়ানো বরই বাগান গড়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। প্রতিদিন তার ব বাগানে কাজ করছে ৮-১০ জন শ্রমিক। বরই গাছগুলো পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ ফুট লম্বা। বরই গাছ গুলো রং বেরংয়ের বরইয়ের ভাড়ে নুইয়ে পড়ছে। দেশিও টককুল জাতের বরই গুলোর আকৃতি বল সুন্দরী, আপেল কুল, কাশ্মমীরি, ইন্ডিয়ান সুন্দরী, বাউফুল, অস্ট্রালিয়েড বিভিন্ন জাতের বরইয়ের থেকে হালকা ছোট হয়। কিন্তু ফলনের দিক থেকে এটা বেশি হয় বলে পাতার দ্বিগুণ ফল ঝুলছে প্রতিটি গাছে।

প্রায় ১৩ বিঘা জমি নিয়ে সামসুল আল আমিনের এ বাগান। এখানে ৩ বিঘা জমিতে আগাম টককুল সহ বল সুন্দরী, আপেল কুল, বাউকুল বরই চাষ করা হয়েছে। এবং ২ বিঘা জমিতে মালটা, ৫০ শতকে স্ট্রবেরি, ৪০ শতকে ড্রাগন সহ আরও বিভিন্ন জাতের বরই চাষ করেছে। গাছ ভর্তি আপেলের মত লাল বরই দেখলে যে কারো চোখ জুড়িয়ে যাবে। বরই বাগান দেখতে বিভিন্ন এলাকার লোকজন দেখতে আসছে। কেউ কেউ শখ করেই যেন বাগান হতে বরই কিনে নিয়ে যাচ্ছে। সামসুল আল আমিন তার বাগানে বেশির ভাগ দেশীয় জাতের টককুল বরই সহ অন্যন্য জাতের বরইও পরীক্ষামূলক চাষ করেছেন। বরই গাছের চারা লাগানোর দুই বছরের মধ্যেই গাছে ফুল এসেছে। এখন ফল সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন। এ বরই দেখতে সুন্দর, খেতেও টক ঝালে অন্য রকম সুস্বাধু। বাজারে রয়েছে এ ফলের ব্যাপক চাহিদা।

তরুণ উদ্যোক্তা সামসুল আল আমিন বলেন, প্রায় ২ যুগ ধরে নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে আজ আমি সফল। এই মৌসুমে আমি বরই, স্ট্রবেরি, ড্রাগন, মাল্টা সহ চাষবাদে প্রায় ৭-৮ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছি। চলতি মৌসুমে আমি ৩ লক্ষ টাকা মত ফল বিক্রি করেছি। আরো প্রায় ৭-৮ লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি। অনেক পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে সফলতার মুখ দেখতে পেয়েছি। আমি আশাবাদী মাল্টা, ড্রাগন, স্ট্রবেরিতেও ভালো ফলন সহ আর্থিক স্বাবলম্বী হতে পারব। কৃষি কর্মকর্তা গন আমাকে অনেক ভাবে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।

তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশে বেকারত্ব দূর করতে কৃষি সহ বিভিন্ন আবাদি জমিতে উন্নত মানের বাগান করে তাতে পরিচর্যা করে সফলতা অর্জন করা সম্ভব।

সর্বশেষ: