শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

ধুনটে মেডিকেলে চান্স পাওয়া তিন ভাইয়ের পাশে দাঁড়ালেন এসপি

ধুনটে মেডিকেলে চান্স পাওয়া তিন ভাইয়ের পাশে দাঁড়ালেন এসপি

সংগৃহীত

বগুড়ার ধুনটের সেই তিন যমজ ভাইয়ের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা পুলিশ। তিন ভাইয়ের মধ্যে দুই ভাইয়ের ভর্তির অর্থ প্রদানের দায়িত্ব নিয়েছেন পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী। গত বছর মেডিকেলে ভর্তি হওয়া অপর ভাইকেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের কথা বলেছেন তিনি। 

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও উপহারসামগ্রী তুলে দেন পুলিশ সুপার। এ সময় তিন যমজ ভাইয়ের মধ্যে মাফিউল হাসান, সাফিউল হাসানসহ তাদের মা আর্জিনা বেগম উপস্থিত ছিলেন। 

তিন মেধাবী ভাইয়ের জন্য শুভকামনা জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, তাদের দুই ভাইয়ের মেডিকেলে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থসহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। 

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) স্নিগ্ধ আখতার, মোতাহার হোসেন, ধুনট থানার ওসি সৈকত হাসান উপস্থিত ছিলেন।

২০০৪ সালের ৩০ নভেম্বর ধুনটের বথুয়াবাড়ি এলাকায় গোলাম মোস্তফা ও আর্জিনা বেগম দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় যমজ তিন ছেলে। তিনজনের মধ্যে সাফি বড়, তারপর কয়েক মিনিটের ব্যবধানে জন্ম নেয় মাফি ও রাফি। ২০০৯ সালে তাদের বাবা হৃদরোগে মারা যান। বাবা হারালেও মা আর্জিনা বেগম জমি বিক্রি করে তাদের পড়ালেখা করানোর হাল ধরেন। তিন জমজ ভাই এসএসসি পরীক্ষাতে জিপিএ-৫ পেলেও এইচএসসিতে তিন ভাইয়ের মধ্যে সাফি জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে বঞ্চিত হয়। পরে তারা গত বছর একসঙ্গে মেডিকেল কলেজে ভর্তি দিলে শুধু মাফিউল ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে চান্স পায়। তবে অপর দুই ভাই প্রথমবার চান্স না পেলেও পরের বার চান্স নিতে কঠোর পরিশ্রম শুরু করেন। ফলে এ বছর অপর দুই ভাই মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

সর্বশেষ: