সংগৃহীত
বগুড়ায় ব্রকলি চাষাবাদে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। খরচ ও সময় কম লাগায় স্বল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়ার আশাবাদী চাষীরা। ব্রকলি মৌসুমের শুরুতে ১শ টাকা কেজিতে বিক্রয় হলেও বর্তমান বাজারে ৬০ টাকা কেজিতে নন্দীগ্রামের বাজারে বিক্রয় হচ্ছে ব্রকলি। দেশে ব্রকলি চাষ দিন দিন বাড়ছে ফলন ভালো এবং চাহিদা থাকায় কৃষকদের মধ্যে এই সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছে।
চাষিদের আগ্রহ থাকায় কৃষি বিভাগও নানা সহায়তা দিচ্ছে কৃষকদের। স্থানীয় বাজার ছাড়াও এই ব্রকলির চাহিদা আছে সারা দেশে। জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলায় এই প্রথম ব্রকলি চাষাবাদ হয়েছে। ৮শতক জমিতে ব্রকলি চাষ করে ইতিমধ্যে সাড়া ফেলেছে নন্দীগ্রামের ওবাইদুল।
জানা গেছে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কাথম এলাকার আব্দুল জুব্বারের ছেলে ওবাইদুল দেড় বিঘা জমিতে ৪০ হাজার টাকা খরচ করে সুদর্শন, এক্সেল ও ব্রকলি চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। ইতিমধ্যেই তিনি ১৫ হাজার টাকার ব্রকলি বিক্রয় করেছে। ওবাইদুর রহমান জানান, আমি অক্টোবর মাসের দিকে বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার শাহ নগর থেকে ১টাকা করে দেড় হাজার পিচ ব্রকলি ক্রয় করে ৮শতক জমিতে রোপন করি। সুদর্শন, এক্সেল ও ব্রকলি চাষ করে দেড় বিঘা জমিতে প্রর্যন্ত আমার ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিশেষ করে ব্রকলি অনেক সুন্দর একটি সবজি বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি।
নন্দীগ্রাম উমরপুর, রনবাঘা, কুন্দারহাট, চাকলমাসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের ক্রেতারা এসে আমার নিকট থেকে পাইকারি মূল্যে ৬০ টাকা কেজিতে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। ব্রকলিতে রোগ বালাই কম হওয়ার কারনে খুব বেশি ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়না। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে আশা করা যাচ্ছে দেড় বিঘা জমি থেকে প্রায় ১লক্ষ টাকার বেশি সুদর্শন, এক্সেল ও ব্রকলি বিক্রয় করতে পারবো।
আরেক চাষী আব্দুল গফুর জানান, ২ বিঘা জমিতে ব্রকলি লাগিয়েছেন। ব্রকলি চাষে সময় ও খরচ কম লাগছে। ব্রকলি চাষে অন্য ক্ষেতের মত কীটনাশক দিতে হয় না। ব্রকলির চাহিদা বগুড়াসহ সারাদেশেই রয়েছে।
ব্রকলির বাজারে বিক্রি মুল্য ভালো। তাই শুধু আবহাওয়া ভালো হলে ব্রকলি চাষাবাদে অধিক লাভবান হওয়া যাবে।
নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার গাজীউল হক জানান, সারাদেশে ব্রকলির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। নন্দীগ্রামে এই প্রথম কৃষক ওবাইদুর রহমান ব্রকলি চাষ করেছে। তিনি ব্রকলি চাষে লাভবান হওয়ায় তার ব্রকলি চাষ দেখে এই উপজেলার অনেক কৃষক ব্রকলি চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে । তার দেখে আরও কয়েকজন ব্রকলি চাষ করছে। আগামীতে এই উপজেলায় ব্রকলি চাষ আরো বাড়বে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ওবাইদুর ব্রকলি বাজারে বিক্রয় করে অনেক লাভবান হতে পারবে।