সংগৃহীত
শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলায় বর্তমানে ধান, আলু, সরিষা চাষের পাশাপাশি এখন বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে খিরা। নন্দীগ্রাম উপজেলার নামুইট গ্রামে গেলেই দেখা মিলবে খিরা’র চাষাবাদ। সারি সারি করে লাগানো প্রতিটি গাছে ধরে আছে খিরা।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং খিরার ফলন ভালো হওয়ায় অনেকটা লাভের আশা করছেন রানা। জানা গেছে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার নামুইট উত্তর পাড়ার মৃত কাওছার আলীর ছেলে রানা প্রতি বছরের মত এবছরও প্রায় তিন বিঘা জমিতে লাল তীর জাতের খিরার চাষ করে তাক লাগিয়েছে কৃষি প্রেমী এই রানা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাথায় ডালি নিয়ে খিরার জমি থেকে খিরা তুলতে ব্যাস্ত সময় পার করছে।
খিরা চাষি রানার সাথে কথা বললে রানা এই প্রতিনিধিকে খিরা চাষ সম্পর্কে জানান, নিজের জমি কম থাকার কারণে অন্যের জমি বছর পত্তন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের ফসল টমেটো, বেগুন, মরিচ খিরা চাষাবাদ করে আসছি। প্রতিবছরের মত এবছরও পৌষ মাসের দিকে তিন বিঘা জমিতে লাল তীর জাতের ১৫ হাজার বীজ বপন করেছি। তিন বিঘা জমি পত্তন নিয়ে খিরা চাষে সব খরচ দিয়ে এ প্রর্যন্ত আমার ৯০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। নিজের তেমন একটা জমি না থাকায় অন্যর জমি পত্তন নিয়ে খিরা চাষ করেছি। খিরা তোলা শুরু করেছি শুরুর দিকে সপ্তাহে তিন দিন পর পর খিরা তুলতাম তখন প্রতিচালানে ৫/৬ মন খিরা উঠতো সেসময় বাজারে ১৮শ টাকা মন বিক্রয় করেছি। এখন প্রায় প্রতিদিনই ১০ মন করে খিরা উঠছে যা এখন বাজারে ১২শ টাকা মন বিক্রয় করছি। এপ্রর্যন্ত ছয়টি চালান তুলেছি, ছয়টি চালানে প্রায় ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে এবং খিরার বাজার মূল্যে ভালো থাকে তাহলে শেষ প্রর্যন্ত তিন বিঘা জমি থেকে তিন লক্ষ টাকার খিরা বিক্রয় করে লাভবান হতে পারবো।
জানতে চাইলে উক্ত ব্লকের কৃষি কর্মকর্তা শাহারুল ইসলাম বলেন, আমার ব্লকের অনেক কৃষকরাই রয়েছে তার মধ্য রানা অন্যতম একজন কৃষক। তিনি প্রতিবছরই খিরার চাষ করে থাকে, আমি শুরু থেকেই রানার খিরার জমি পরিদর্শন করে আসছি এবং রানাকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ প্রদান করছি।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, রানা অত্যান্ত সফল একজন কৃষক তিনি প্রতিবছরের মত এবছরও তিন বিঘা জমিতে লাল তীর জাতের খিরার চাষ করেছে। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে এবং এর বাজার মূল্যে ভালো থাকে তাহলে রানা খিরা চাষে লাভবান হতে পারবে।