শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

লাল মরিচে চাষির মুখে রঙিন হাসি

লাল মরিচে চাষির মুখে রঙিন হাসি

সংগৃহীত

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে লাল মরিচ প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। দ্রব্যমূল্য ও মজুরি খরচ বাড়লেও হাইব্রিড মরিচে লাভ বেশি হওয়ায় হাসি রয়েছে কৃষকের মুখে। তবে হাইব্রিড মরিচের চাষ বাড়ায় কমেছে দেশি লাল মরিচের আবাদ।

যমুনা ও বাঙালি নদীবিধৌত হওয়ায় বাংলাদেশ বিখ্যাত লাল মরিচ সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে। এ উপজেলার মাটি বেলে দোআঁশ, তাই প্রাচীনকাল থেকেই উপজেলায় সবচেয়ে বেশি মরিচ উৎপন্ন হয়। 

গাছে মরিচ আগাম ধরা, দেশি মরিচের তুলনায় বেশি উৎপাদন হওয়াসহ কাঁচা অবস্থাতেই বাজারজাত করে বেশি মুনাফা হয় বলে কৃষকরা এখন হাইব্রিড মরিচ আবাদে ঝুঁকছেন। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, শ্রমিকের চড়া মূল্য ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধির ফলে এবার লাল মরিচের উৎপাদন খরচও বেড়েছে।

সারিয়াকান্দির একাধিক আড়তদার বলেন, গত বছর লাল টোপা মরিচ প্রতিমণ ৩ হাজারের বেশি টাকায় বাজারে বিক্রি হলেও এ বছর তা ২ হাজারের কিছু বেশি টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মরিচচায়ি সদর ইউনিয়নের পারতিত পরল গ্রামের লেবু মিয়া জানান, ৪ মণ ১০ কেজি লাল টোপা মরিচ শুকিয়ে এক মণ শুকনা মরিচ পাওয়া যায়। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, সারিয়াকান্দিতে এ বছরও মরিচের আবাদ ভালো হয়েছে। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা লাভবানও হচ্ছেন।

সর্বশেষ: