সংগৃহীত
বগুড়ার নন্দীগ্রামে আবাদি জমি ও পুকুর সংস্কারের নামে মাটি কেটে বিক্রি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম ঠেকাতে মাঠে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন। মাটিখনন করে বিক্রির অপরাধে থানায় দফায় দফায় মামলা হলেও উপজেলার হাটকড়ই, রিধইল, রুস্তমপুর, ভরতেতুলিয়া, রায়পুর কুস্তা, সিংজানীসহ বিভিন্ন এলাকায় রাতের আঁধারে চলছে কৃষি জমিতে ধ্বংসযজ্ঞ।
পুকুর সংস্কারের নামেও চলছে মাটি বিক্রি। সদর ইউনিয়নে বেপরোয়া মাটিখেঁকো চক্রের সদস্যদের আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জমির মালিকের ৭০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হুমায়ুন কবির।
বুধবার ডেরাহার কড়ইতলা সড়কের পাশে হিন্দুপাড়া মাঠে কৃষি আবাদি জমি এস্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে খনন করে মাটি বিক্রির সময় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় মাটিখেঁকো চক্রের সদস্যদের আটকের পর জমির মালিককে ডাকা হয়। খননকৃত জমিতেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ৭০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেন বিচারক। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে অর্থদণ্ডিত ব্যক্তি বৈলগ্রাম এলাকার মৃত লছের উদ্দিনের ছেলে ইউনুস আলী। ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন নন্দীগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম।
এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে একই কৃষি জমি খনন করে মাটি বিক্রির সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে একজনকে আটক করে জেলে পাঠানো হয়েছিল। সেসময় জমির মালিক ইউনুস আলী সটকে গিয়েছিলেন। এস্কেভেটর চালক সুজন আলীকে একলাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন তৎকালিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম।
সুত্র জানায়, তথ্য গোপন রেখে প্রশাসনের কাছে নামমাত্র লিখিত আবেদন করে অনুমোদন ছাড়াই কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছিলেন বৈলগ্রাম ইউনুস আলী। মাটি কেটে ট্রাক্টর দিয়ে নেওয়া হয় আশপাশের ভিটা ও আবাদি জমিতে। রাতভর চলে জমির শ্রেণি পরিবর্তন। ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে প্রশাসন ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে উপজেলার বেশকয়েকটি গ্রামে কৃষি জমি ধ্বংস ও পুকুরখননের নামে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় ওই সিন্ডিকেট।
এদিকে উপজেলার রণবাঘা বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন অমান্য করায় ৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির। অর্থদণ্ডিত ব্যক্তি রণবাঘার রণকুড়ি এলাকার মকিম উদ্দিনের ছেলে ওয়াইদুল ইসলাম।