সংগৃহীত
নতুন প্রজন্মের মাঝে দেশীয় ফলের পরিচিতি ও পুষ্টিগুণ তুলে ধরে বগুড়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে মৌসুমি ফল উৎসব। সোমবার সকাল ১০টায় বগুড়া পুলিশ লাইনসের ড্রিল সেডে জেলা পুলিশ উৎসবে আয়োজন করে।
বগুড়া পুলিশ সুপার ও পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন সিআইডি বগুড়ার বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কাউছার শিকদার, হাইওয়ে বগুড়া রিজিওনের পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার (ইন সার্ভিস) বেলাল হোসেন, পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার, আবদুর রশিদ, মোতাহার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন, শরাফত ইসলাম, অধ্যক্ষ শাহাদত আলম ঝুনু, বগুড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন।
অনুষ্ঠানে মিয়াজাকি, সূর্য ডিম, ব্যানানা জাতের আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, সফেদা, ডেওয়া, করমচা, চালতাসহ ৩০ ধরনের ফল ছিল। প্রচলিত ফলের পাশাপাশি অপ্রচলিত ফল দেখে শিক্ষার্থীরা আনন্দিত।
শিক্ষার্থীরা জানান, চালতা ও ডেওয়া ফলের নাম শুনলেও প্রথমবার দেখেছে ফল উৎসবে। এমন আয়োজনে তারা দেশীয় ফল যেমন চিনতে পেরেছে তেমনি ফলের পুষ্টিগুণ জানতে পেরেছে। প্রতিবছর এমন আয়োজনের প্রত্যাশা তাদের।
বগুড়া পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদত আলম ঝুনু বলেন, ফল ও ফুল আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত। নতুন প্রজন্ম ফলের নামসহ পুষ্টিগুণ ও ঔষধিগুণ জানতে পারছে। এ আয়োজন এক কথায় অসাধারণ।
অনুষ্ঠানের আয়োজক পুলিশ সুপার ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, আমাদের দেশীয় অনেক ফল হারিয়ে যেতে বসেছে, গাছে গাছে থাকলেও তা হাটে বাজারে বা সবখানে প্রচলিত না থাকায় নতুন প্রজন্ম এ বিষয়ে অবগত নয়। তরুণ প্রজন্মকে দেশীয় ফলের সঙ্গে পরিচিত করতে এমন আয়োজন। ফল উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেমন ফল চিনছে তেমনি এসব ফল ও গাছ সংরক্ষণে অনুপ্রাণিত হবে।
আজকের প্রজন্ম দেশীয় ফল, ফুল, নদীসহ প্রকৃতি রক্ষায় কাজ করবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।