সংগৃহীত
বগুড়ার সোনাতলায় আগুনে ঝলসে যাওয়া প্রতিবন্ধী ফ্রিজ মেকারের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও সাবরিনা শারমিন। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কর্ম করতে গিয়ে গত ২৯ জুন শনিবার ফ্রিজ বিস্ফোরণে তার শরীরের ৩০ ভাগ ঝলসে যায়। সোনাতলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। চিকিৎসা শেষে তিনি বাড়ি আসেন। আবু তাহের বালুয়া ইউনিয়নের উত্তর আটকড়িয়া গ্রামের মৃত ছায়েদ আলী মোল্লার ছেলে। ফ্রিজ মেকার শারিরিক প্রতিবন্ধী আবু তাহের। সে দুই পায়ের হাঁটুর উপর ভর দিয়ে চলাচল করে । জীবন যুদ্ধে হার না মেনে, কারো কাছে হাত না পেতে প্রশিক্ষণ নিয়ে বেছে নেন টিভি ফ্রিজ মেরামতের কাজ।
কাজ করার সময় ফ্রিজ বিস্ফোরণের আগুনে ঝলসে যায় প্রতিবন্ধী আবু তাহেরের শরীর। দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন ও কর্মহীন হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছিলেন তিনি।
বিষয়টি সাংবাদিক রিমন আহম্মেদ বিকাশ,সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক, সাংবাদিক সাজেদুর রহমান শান্ত মৌখিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিনকে অবগত করা হয়। এর প্রেক্ষিতে প্রতিবন্ধী আবু তাহের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও সাবরিনা শারমিন।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের উত্তর আটকড়িয়া(মোন্নাপাড়া) গ্রামের আবু তাহের এর বাড়িতে হাজির হয়ে হুইল চেয়ার, চাল ও নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন উপজেলা প্রশাসন। পরে তার শারীরিক ও পারিবারিক অবস্থার বিষয়েও খোঁজ-খবর নেন। তার প্রতিবন্ধী মেয়ের দ্রুত ভাতার কার্ড করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
এ সময় তিনি বলেন, আবু তাহের প্রতিবন্ধী হলেও তিনি কর্মঠ ও নির্লোভী। সে যেন একটু চলাচল করতে পারে এবং দুর্ঘটনায় চিকিৎসার ব্যয়ভার কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পারে সেজন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ মন্ডল,সাংবাদিক রিমন আহমেদ বিকাশ, সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক, সাংবাদিক সাজেদুর রহমান শান্ত, ইউপি সদস্য আপেল মাহমুদ।