বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

মাংকিপক্স আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় বগুড়ায় প্রস্তুত ১০ শয্যা

মাংকিপক্স আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় বগুড়ায় প্রস্তুত ১০ শয্যা

সংগৃহীত

মাংকিপক্স (এমপক্স) ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও আক্রান্তদের চিকিৎসায় বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ১০ শয্যার পৃথক আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে। রোগীর সংখ্যা বাড়লে তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হবে।

বুধবার (২১ আগস্ট) বিকালে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শফিক আমিন কাজল এ তথ্য দিয়ে জানান, তাকে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিংয়ের জন্য ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।

বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গত ১৮ আগস্ট রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) থেকে পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, এমপক্স রোগী শনাক্ত হলে তাকে কাছের সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। ওই রোগীর তথ্য আইইডিসিআরকে জানাতে হবে।

এ ছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে সব হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও কনসালটেন্টদের নিয়ে গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ‘এমপক্স ইনফেকশন ম্যানেজমেন্ট ও ওভারভিউ’ শীর্ষক ওয়েবিনার (ভার্চুয়াল সভা) আয়োজন করতে বলা হয়। ওই সভায় বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আলম, বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. শফিউল আজম, বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কাজী মিজানুর রহমান ও ১২ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

ওই ভার্চুয়াল সভায় জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমপক্স সংক্রমণকে বিশ্বে জরুরি জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে ঘোষণা করছে। ইতিমধ্যে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ১৪ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে। ৫২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে এমপক্স সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) এমপক্স সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আবদুল ওয়াদুদ জানান, ওই ভার্চুয়াল সভায় এমপক্স রোগী শনাক্ত হলে তাদের চিকিৎসার জন্য আপাতত বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট খোলার সিদ্ধান্ত হয়।

সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিংয়ের জন্য একজন চিকিৎসককে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হবে। সেখানে রোগী সংকুলান না হলে শজিমেক হাসপাতালের কোনও ইউনিটকে ব্যবহার করা হবে।

মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, এমপক্স আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় হাসপাতালের নিচতলায় ডায়রিয়া বিভাগের পাশে একটি অংশকে আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও বিশেষজ্ঞদের নির্দেশনা অনুসরণ করা হবে।

সর্বশেষ: