সংগৃহীত
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মাথিউরা চা বাগান। চা বাগানের মধ্যে পাহাড়ি এলাকায় দেখা মিলে স্বচ্ছ জলের লেক। এই লেকে রয়েছে হাজারো লাল শাপলার হাসির ঝিলিক। সৌন্দর্যের মাত্রা আরো বাড়িয়েছে শীতের পরিযায়ী পাখি। এই মনোরম দৃশ্যটি বাগানের ২০ নম্বর রাবার ড্যামে। চায়ের রাজ্যে এ যেন শাপলার রাজত্ব।
মাথিউরা চা বাগানে গেলে দেখা যায়, বাগানের ২০ নম্বর ওই লেকে ফুটেছে লাল শাপলা ফুল। সকাল-সন্ধ্যায় রয়েছে পরিযায়ী পাখিদের আনাগুনা। পাহাড়ি লেকের নিরিবিলি পরিবেশে স্নিগ্ধতা বিলাচ্ছে প্রকৃতির এই অপূর্ব সৃষ্টি।
নজর কাড়া এমন দৃশ্য দেখামাত্র মুখ থেকে বেরিয়ে আসবে ‘বাহ কি সুন্দর’, তখন মনের অজান্তেই গুনগুনিয়ে উঠবেন, আহা, আজি এ বসন্তে এত ফুল ফুটে, এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়...।’
সকাল-সন্ধ্যায় পাখিদের কলরবে মুখরিত হয়ে উঠে এলাকা। অলস দুপুরে পরিযায়ীরা লাল শাপলার আড়ালে খুনসুটি আর জলডুবি খেলায় মত্ত থাকে। লেকের পাড়ে ঘুরতে থাকলে দেখা যাবে এক গাছের ডাল থেকে অন্য গাছের ডালে লাফাচ্ছে বানর। এটি আশেপাশের পরিবেশকে আরো মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে।
স্থানীয়রা জানান, এখানকার সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। লেকের কারণে এই স্থানের সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। আমাদের আশেপাশের বাসিন্দরা অনেকেই এখানে ঘুরতে আসেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় এখানে ভ্রমণপিপাসুদের আনাগুনা তেমন নেই।
পর্যটক আবু বকর বলেন, এমন অপরূপ সৌন্দর্যের মধ্যে লাল শাপলার রাজত্ব মনকে উৎফুল্ল করে তুলে।
লেকে ঘুরতে আসা আব্দুল আজিজ বলেন, আমার দেখা অন্যতম একটি লেক। উঁচু নিচু চায়ের টিলা এবং লেকের মনকাড়া সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। এই লেকটিকে আরো সুন্দর ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করলে যোগ হবে আরো একটি পর্যটন স্পট।
মাথিউরা চা বাগানের বাসিন্দা প্রদীপ লাল রাজভর বলেন, পাহাড়ি উঁচু নিচু টিলাভূমিতে যাতায়াত সহজতর না থাকায় এখানে ভ্রমণপিপাসুরা কম আসেন। সৌন্দর্যের দিক বিবেচনা করলে এই লেক মনোহারী।
মাথিউরা চা-বাগানের ব্যবস্থাপক ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, এটি একটি চা কোম্পানির প্রাইভেট প্রোপার্টি। বিভিন্ন বিধি নিষেধের কারণে এটি আমরা পর্যটকদের জন্যে উন্মুক্ত করতে পারব না। এটি মূলত চা বাগানের জন্য করা হয়েছে। ভ্রমণপিপাসুরা আসলে আমরা বাধা দিতে পারি না।
সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ