রাতের বেলা পথ চলতে কিংবা ঘরে থাকতেও অনেকে ভয় পান। সব সময় না হলেও মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখেও মনে ভয়ের সঞ্চার হয়। এই অবস্থায় ভয় থেকে বাঁচতে উপায় ও দোয়া করার নসিহত পেশ করেছেন স্বয়ং বিশ্বনবী। রাতের ভয় কাটিয়ে সুন্দর ঘুম ও ঘরে অবস্থানের জন্য আল্লাহর কাছে একাধিক দোয়া পড়ার কথাও এসেছে হাদিসের একাধিক বর্ণনায়। তাহলো-
১. রাতে ভয় পেয়ে
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ
উচ্চারণ : আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মতি মিন গাদাবিহি ওয়া ইক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ শায়াত্বিনি ওযা আঁই-ইয়াহদুরুন।’
অর্থ : আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণীসমূহের ওসিলায় তার ক্রোধ ও শাস্তি থেকে, তাঁর বান্দাদের অনিষ্ট থেকে, শয়তানের প্ররোচনা এবং আমার কাছে ওদের হাজির হওয়া থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (তিরমিজি)
২. ঘুম না আসলে
বিছানায় শুয়ে ঘুম না আসার ফলে অনেকে এপাশ-ওপাশ করে থাকে। এ সময় এ দোয়া পড়া-
لا إِلَهَ إِلا اللَّهُ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا الْعَزِيزُ الْغَفَّارُ
উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল ওয়াহিদুল কাহহার, রাব্বুস্সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়া মা বাইনাহুমাল আযিযুল গাফফার।’
অর্থ : ‘আল্লাহ ব্যতিত কোনো সত্য উপাস্য নেই; যিনি একক, প্রবল ক্ষমতাশালী; আকাশমন্ডলী, পৃথিবী এবং উভয়ের মধ্যবর্তী সব কিছুর প্রতিপালক। যিনি পরাক্রমশলী, ক্ষমাশীল।’ (জামে)
৩. রাতে দুঃস্বপ্ন দেখলে করণীয় ও দোয়া
রাতে ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন দেখলে শয়তানের ক্ষতি ও ভয় থেকে বাঁচতে এ আমলগুলো করা-
> বাম দিকে তিনবার হাল্কা থুথু মারা।
> শয়তান থেকে এবং যা দেখেছে তার মন্দ থেকে বাঁচতে-
- أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْم : আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম ৩ বার পড়া। (মুসলিম)
- অতঃপর এ দোয়া পড়া-
اَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكِ مِن شَرِّ هَذِهِ الرُّؤْيَا
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিন শাররি হাজিহির রুইয়া।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এই স্বপ্নের অনিষ্টতা থেকে মুক্তি চাই।’
> সেই স্বপ্নের কথা কাউকে না বলা।
> পার্শ্ব পরিবর্তন করে শোয়া।
> সম্ভব হলে ওঠে নামাজ পড়া।
আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে রাতের ভয়, দুঃস্বপ্ন ও এসবের ক্ষতি থেকে মুক্ত থাকতে হাদিসের দিকনির্দেশনা ও দোয়া পড়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।
দৈনিক বগুড়া