সংগৃহীত
ফেসবুক আমাদের জীবনের সঙ্গে এখন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সামাজিক এই যোগাযোগমাধ্যম ছাড়া বলা যায় আমাদের এক মুহূর্তও চলে না। সম্প্রতি ফেসবুক ব্যবহার করে অনলাইন ব্যবসা-বাণিজ্যেরও বেড়েছে বিস্তৃতি। এছাড়া এতে অনেক ব্যক্তিগত ছবি ও তথ্যও থাকে। তাই কোনো কারণে ফেসবুক আইডি বা পেজ ‘জিজেবল’ কিংবা বন্ধ হলে পড়তে হবে বিশাল বিড়ম্বনায়।
নানা কারণেই ফেসবুক আইডি বা পেজ ডিজেবল হতে পারে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে ফেসবুক আইডি বা পেজ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিভিন্ন কারণসহ অন্যান্য বিষয় উঠে এসেছে। চলুন এক নজরে দেখে নেই—
ডিজেবল হয় কেন?
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য মেটার (ফেসবুক) স্পষ্ট বেশ কিছু নির্দেশনা রয়েছে। যেটিকে বলা হয় কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড গাইডলাইন। সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুকের কমিউনিটি গাইডলাইন ছয়টি ভাগে বিভক্ত। এগুলো হলো:
১. সহিংসতা ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ
২. নিরাপত্তা
৩. আপত্তিজনক কনটেন্ট
৪. সত্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা
৫. মেধাস্বত্ব (ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি)
৬. অনুরোধ ও সমাধান।
কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের মধ্যে ফেসবুক বা মেটা কর্তৃপক্ষ সহিংসতা, অপরাধ ও নিরাপত্তার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়।
গাইডলাইনে বলা আছে:
>> ফেসবুকে কোনো ধরনের টেরোরিজম বা জঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চালানো যাবে না। এমনকি সহিংসতা, ছড়ানো হচ্ছে বলে রিপোর্ট করা মাত্রই আপলোড করা কন্টেন্টসহ পুরো ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ রিমুভ হয়ে যাবে।
>> আপত্তিজনক কনটেন্ট, হিংসাত্মক বক্তব্য, জাতি অথবা মানুষের ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ কিংবা শারীরিক অক্ষমতা নিয়ে সরাসরি আক্রমণ করলেও তা নিয়ে রিপোর্ট হলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়। এ ক্ষেত্রে কখনো কখনো কয়েক দিনের জন্য পোস্ট বা কমেন্টস করা থেকে বিরত রাখা হয় অনেককে।
>> ধর্ষণ, মরদেহ ও দুর্ঘটনার ছবি অথবা ভিডিও পোস্ট করলে, দুর্ঘটনা আগুন কিংবা রক্তপাতের ছবি দৃশ্য প্রচার করলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ওই আইডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।
>> শ্মশানে মরদেহ পোড়ানো, যে কোনো ধরনের নির্যাতন: শিশু যৌন নির্যাতন, নারী যৌন নির্যাতন, অপ্রাপ্তবয়স্ক নির্যাতন, প্রাণী শিকার, প্রাণী হত্যা, প্রাণী জবাই, প্রাণীর ক্ষত বা কাটা দৃশ্যমান ছবি বা ভিডিও প্রচার কররেও আইডি বা ব্যবসায়িক পেজ ডিজেবল হয়ে যাবে।
সূত্র: Rtv News