সংগৃহীত
সারাবিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে ৯১ শতাংশই ব্যবহার করেন গুগল সার্চ ইঞ্জিন। কিন্তু সার্চজিপিটি পুরোপুরি অবমুক্ত হলে গুগলের সেই একক আধিপত্য টিকে থাকবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ডিজিটাল বিশেষজ্ঞরা।
তাহলে কি গুগল তার বাজার হারাবে– প্রশ্নের জবাবটা আসলে সময়ই বলে দেবে। ঠিক এ মুহূর্তে বলা যায়, গুগলকে চ্যালেঞ্জ করতেই বাজারে আসছে নতুন ঘরানার সার্চ ইঞ্জিন। অনেকেই বলছেন, নতুন আর কী! প্রতিযোগিতায় কি গুগল ছাড়া আর কোনো সার্চ ইঞ্জিন নেই এখন? উত্তর– অবশ্যই আছে, তবে পুরোপুরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রিত সার্চ ইঞ্জিন নেই। বলতে গেলে ওই শূন্যতাই পূরণ করবে ওপেনএআই। চ্যাটজিপিটির আদলে তারা উদ্ভাবন করেছে নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন, যার নাম ‘সার্চজিপিটি’। অনেকটাই চ্যাটজিপিটির আদলে বানানো সার্চ ইঞ্জিন। নির্মাতাদের দাবি, সার্চ ইঞ্জিনে ইন্টারনেট থেকে রিয়েল টাইম তথ্য (ডেটা) প্রদর্শিত হবে।
ওপেনএআই প্রযুক্তির নির্বাহী প্রধান স্যাম অল্টম্যান জানান, আগ্রহীরা প্রয়োজনে ইন্টারনেটে কিছু সার্চ করলে তার সামনে সাইটের লিঙ্কসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ হাজির করবে সার্চজিপিটি। সার্চে প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর আবার আগ্রহীরা বিশেষ প্রশ্ন করার সুবিধা পাবেন। সার্চজিপিটি সেই প্রশ্নের সদুত্তরে যথাযথ তথ্য উপস্থাপন করবে। আপাতত সার্চ ইঞ্জিনটি পরীক্ষামূলক সংস্করণে কাজ করছে। ফিডব্যাক গ্রহণের উদ্দেশ্য এই মুহূর্তে অল্প সংখ্যক কিছু গ্রাহক ও পাবলিশার্সের জন্য এটি চালু করেছে। নির্মাতাদের দাবি, সার্চজিপিটি থেকে প্রয়োজনে সরাসরি চ্যাটজিপিটিতে প্রবেশ করা যাবে। তবে এখনই সেই ফিচার যুক্ত করা হয়নি।
সুদীর্ঘ সময় ধরেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত সার্চ ইঞ্জিনের উন্নয়নে কাজ করছে ওপেনএআই। দ্রুতই সেই পরিশ্রমের ফল দৃশ্যমানের অপেক্ষায়। ঠিক গুগলও পিছিয়ে নেই। কিছুদিন আগে ‘এআই ওভারভিউ’ নামে ফিচার নিজেদের সার্চ ইঞ্জিনে যুক্ত করেছে গুগল।
ওপেনএআই নির্মাতাদের দাবি, সার্চজিপিটি সম্পূর্ণ রূপেই এআই প্রযুক্তিতে পরিচালিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুগল সার্চ থেকে দ্রুত ও যথাযথ সার্চ ফলাফল মিলবে নতুন সার্চ ইঞ্জিনে। অন্যদিকে খোঁজকৃত সোর্স থেকে যে তথ্য নেওয়া হচ্ছে, তার লিঙ্ক দেওয়া থাকবে। সার্চের উত্তরে পাওয়া সরাসরি চ্যাটজিপিটিতে গিয়ে বিশ্লেষণ বা অন্য কোনো কাজ
করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ওপেনএআই চ্যাটজিপিটি উন্মোচন করে সারাবিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছিল। ঠিক তার পরপরই চ্যালেঞ্জে জেমিনি উদ্ভাবন করে গুগল। ওই লড়াইটা তখন ছিল চ্যাটবটকেন্দ্রিক। কিন্তু লড়াইটা এখন সার্চ ইঞ্জিনে গড়িয়েছে।
সার্চজিপিটি পুরোপুরি উন্মোচিত হলে গুগলের সেই একচ্ছত্র আধিপত্য নিঃসন্দেহে কিছুটা হলেও কমবে। সার্চ ইঞ্জিনটি এখনও পুরোপুরি অবমুক্ত হয়নি। চূড়ান্ত সব পরীক্ষা সফল হলেই সারাবিশ্বে পূর্ণাঙ্গরূপে আত্মপ্রকাশ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সার্চ ইঞ্জিনটি।
সূত্র: সমকাল